ডেঙ্গু পরিস্থিতিঃ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন ইষ্ট-ওয়েষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতাল-মুখী স্রোত থামছেই না। এ সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে।
সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি বেসরকারী হাসপাতালগুলোতেও ডাক্তার এবং নার্সরা এখন বিপুল সংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রতি মুহূর্তেই রোগী আসছেন এসব হাসপাতালে।হাসপাতালগুলোতে আসছে কেউ রোগী হিসেবে ভর্তি হতে, কেউবা ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে।
কথা বলছিলাম নগরীর তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত ইষ্ট-ওয়েষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে দ্বায়ীত্বরত ইন্টার্ন ডা. শীলা ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, সাধারণ তারা একদিনে যত সংখ্যক রোগী দেখতেন, এখন তাদের দুই থেকে তিন গুন বেশী রোগী দেখতে হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে উক্ত মেডিকেলে প্রায় ১৬০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হবার আশংকা নিয়ে তিনি নিজেও উদ্বিগ্ন।
হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে গিয়ে প্রায় ২৩ জন মেডিকেল স্টুডেন্ট, ১৫ জন ইন্টার্ন ও ২ জন ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে গণসচেতনতার জন্য গত ১ আগষ্ট রোজ বৃহস্পতিবার ইষ্ট-ওয়েষ্ট মেডিকেল কলেজ সহ নগরীর সকল সরকারি ও বেসরকারী মেডিকেল কলেজগুলো আশেপাশের স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় ক্যাম্পেইন করে।
ডেঙ্গু জ্বরের এই মহামারী ঠেকাতে সাধ্যের সবটুকু করে যাচ্ছে ডাক্তার সমাজ। কিন্তু পক্ষান্তরে কিছু সাংবাদিক ও টিভি চ্যানেল নিজেদের টি.আর.পি বৃদ্ধির জন্য মিথ্যা ও উদ্দ্যেশ প্রণোদিত খবর প্রকাশ করে ডাকাক্তারদের প্রশ্নের সম্মুখীন করাচ্ছে এবং জনগণের মধ্যে ছড়ানো হয়েছে বিভিন্ন দ্বিধাদ্বন্দ্ব। এতে তাদের সাজানো নাটকগুলোতেও ভেসে আসছে ডাক্তার বিরোধী বিভিন্ন অভিযোগ পত্র।
পরিশেষে মাদার তেরেসার একটি কথা বলতে চাই,
"I alone can't change the world, but I can cast a stone across the waters to create many ripples".
ঠিক তাই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় শুধু ডাক্তার সমাজ ও সরকার নয়, প্রতিটি স্তরের মানুষদের তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। আমার মতে এই মহামারী ঠেকাতে সাংবাদিক ভাইদের কাজটাও কম নয়। সকলের মিলিত প্রচেষ্টাই পারে বৃহৎ এই সমস্যার মোকাবেলা করতে।
-ডা. মির্জা শামীম
ইওমেক হাসপাতাল
সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি বেসরকারী হাসপাতালগুলোতেও ডাক্তার এবং নার্সরা এখন বিপুল সংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রতি মুহূর্তেই রোগী আসছেন এসব হাসপাতালে।হাসপাতালগুলোতে আসছে কেউ রোগী হিসেবে ভর্তি হতে, কেউবা ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে।
কথা বলছিলাম নগরীর তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত ইষ্ট-ওয়েষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে দ্বায়ীত্বরত ইন্টার্ন ডা. শীলা ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, সাধারণ তারা একদিনে যত সংখ্যক রোগী দেখতেন, এখন তাদের দুই থেকে তিন গুন বেশী রোগী দেখতে হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে উক্ত মেডিকেলে প্রায় ১৬০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হবার আশংকা নিয়ে তিনি নিজেও উদ্বিগ্ন।
হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে গিয়ে প্রায় ২৩ জন মেডিকেল স্টুডেন্ট, ১৫ জন ইন্টার্ন ও ২ জন ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে গণসচেতনতার জন্য গত ১ আগষ্ট রোজ বৃহস্পতিবার ইষ্ট-ওয়েষ্ট মেডিকেল কলেজ সহ নগরীর সকল সরকারি ও বেসরকারী মেডিকেল কলেজগুলো আশেপাশের স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় ক্যাম্পেইন করে।
ডেঙ্গু জ্বরের এই মহামারী ঠেকাতে সাধ্যের সবটুকু করে যাচ্ছে ডাক্তার সমাজ। কিন্তু পক্ষান্তরে কিছু সাংবাদিক ও টিভি চ্যানেল নিজেদের টি.আর.পি বৃদ্ধির জন্য মিথ্যা ও উদ্দ্যেশ প্রণোদিত খবর প্রকাশ করে ডাকাক্তারদের প্রশ্নের সম্মুখীন করাচ্ছে এবং জনগণের মধ্যে ছড়ানো হয়েছে বিভিন্ন দ্বিধাদ্বন্দ্ব। এতে তাদের সাজানো নাটকগুলোতেও ভেসে আসছে ডাক্তার বিরোধী বিভিন্ন অভিযোগ পত্র।
পরিশেষে মাদার তেরেসার একটি কথা বলতে চাই,
"I alone can't change the world, but I can cast a stone across the waters to create many ripples".
ঠিক তাই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় শুধু ডাক্তার সমাজ ও সরকার নয়, প্রতিটি স্তরের মানুষদের তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। আমার মতে এই মহামারী ঠেকাতে সাংবাদিক ভাইদের কাজটাও কম নয়। সকলের মিলিত প্রচেষ্টাই পারে বৃহৎ এই সমস্যার মোকাবেলা করতে।
-ডা. মির্জা শামীম
ইওমেক হাসপাতাল
No comments