Save Our Soul (SOS)
ভূমধ্যসাগরে দেখি আমি জীবনের ভেলা,
দামাস্কাস হতে দূরবীনে দেখি সাইপ্রাস,
আমাদের আকাশে আর উড়ে না পায়রা,
জাতীয় পাখির স্থান নিয়েছে ড্রোনের পাখারা।
স্কুলের ঘন্টা বাজে না আর,
সকলের ছুটি হয় আজ গোলাবারুদের আঘাতে,
স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শরীর,
তবুও যেন সেটা আগুনের থেকেও মলিন।
পুরো দেশটি আজ খেলার মাঠ,
যে যেভাবে চায় মত্ত হয়ে উঠে খেলায়,
গাল্ফ স্টেটগুলো এ খেলার সম্মানিত দর্শক,
লাশের স্তুপে জমে পয়েন্ট টেবিলের হিসাব,
উটের দৌড়ে বিক্ষত হয় রক্ত লালের কিতাব।
আকাশে আর বিজুলী চমকায় না,বৃষ্টি আসে না,
মিগ 25 এর গর্জনে নামে বোমাবর্ষণ,
গোলাপের টবগুলোয় তাই ছাই পড়ে আছে,
মনুষ্যত্বের দেয়ালে আজ রক্ত লেগে গেছে।
এইত সেদিন মা আমার খোপা বেধেছিল,
সে বাঁধন খোপা আর খুলিনি।
তোমার লাশ দাফনে আমি ছিলাম,
কিন্তু কাঁদিনি, আগুনের উষ্ণতায় তা শুকিয়ে গিয়েছিল।
বাবা বলেছিল, যেদিন আকাশে নির্দিধায় সূর্য উঠবে,
যেদিন বাজপাখি দুবাহু মেলে উড়বে ওই নীল আকাশে,
সেদিন আমি ফিরব,
কিন্তু আজও আকাশ ঢেকে আছে মর্টার শেলের কালো ধুলোয়,
বাবার ফেরার সময় হয়নি।
ছোট ভাইয়ের রক্ত মাখা শার্টটের পকেটে তোমাদের ছবি পেয়েছি,
ভাই পুড়েছিল, বুলেটে ঝাঝড়া হয়েছিল বুক,
তবুও বুকপকেটের ছবিটি কেন জানি অক্ষত ছিল।
একটা বেলজিয়ান পিস্তল সাথে রেখেছিলাম,
যদিও আমার হাতের তুলনায় সেটি অনেক ভারী,
কার দিকে নিশানা করে চালাব সে গুলি?
সবাই ত আমার ভাই, হোক তারা খুনের নেশাকারী।
চারিদিকে আজ লাশের বাজার বসেছে,
অবিক্রীত রয়েছি মোরা মূল্যহীন ভেবে,
এই সংঘাত আর চলবে কত দিন?
শোধ হবে কি কভু শত সহস্র জীবণের ঋণ?
তাই,
খোদার কাছে প্রার্থনা মোর,
প্লিজ, সেইভ আওয়ার সোউল।
-মির্জা শামীম
No comments