যাও পারলে ধরো, নইলে না খেয়েই মরো
চাল তোমরা খুঁজো না,
মাটি খুঁড়েও আর পাবে না।
চাল চোরেরা লুকিয়ে আছে
ঐ ত্রাণের খনির আস্তানাতে।
যাও, পারলে ধরো
নইলে ভাত না খেয়েই মরো।
অবশ্য ভাত এ পেটে আর জোটে না,
ঐ বইয়ের কাগজ মাথায় ঢুকে না।
কিবা হবে লিখা পড়ায়?
মূর্খরাই ত ছড়ি ঘুরায়!
এই যে দেখো মহামারির দিনে,
এক আনা খাবার দিয়ে ষোল আনাই মারে।
মানুষ মরছে,
তোমার আপন জনও লাশটি দেখে শিটকাচ্ছে।
শেষ বিদায়ে যাচ্ছ না, ভয়?
দেখো গালি খাওয়া ওই পুলিশ আছে তোমার আমার জানাজায়।
কি? নিজেকে খুব বাহাদুর মনে হয়?
ঘরের মধ্যে লুকিয়ে তবে, অর্ডার তোমায় দিতে হয়?
ও সব স্টে-হোম, স্টে-সেইফ বড় লোকের ভাষা,
ত্রাণের টাকা মেরে বলো বাইরে যাওয়া মানা!
ওদিকে ডাক্তার বাবু বেজায় বিপদে,
জীবণ দিবে তবুও পড়বে সবার ধমকে।
ভুলের মাশুল ঢাকতে গিয়ে ডাক্তার হলো কসাই,
উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেন মশাই।
তবে আমার কি? এসব বলেই বা কি লাভ?
দেখে বোঝ না? কি তাদের হাভ-ভাব?
শোন ভাই,
সবাই দেখো গা বাঁচিয়ে চলে,
গোল্লায় যাচ্ছে যেতে দাও, কি আর হবে ভেবে?
নিজের দোষ তোমায় দিলাম এবার তুমি বাঁচো,
যাও পারলে ধরো, নইলে না খেয়েই তবে মরো।
-মির্জা শামীম
১৩/০৪/২০২০
No comments