ফ্লাইট নং ২১১
আজ ১২ই মার্চ দুই হাজার আঠারো,
আমি ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান,
ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্সে সবাইকে স্বাগতম।
অনুগ্রহ করে আপনারা সবাই সিট বেল্টটি বেধে নিন ও
নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলুন।
অনিরুদ্ধ, ঘুমিয়ে গেছো?
না মা, জেগে আছি
আর কতক্ষণ জেগে রবো মা?
হয়ত আর ঘন্টাখানিক।
মা আমি কি আর স্কুলে যাবো না?
রুদ্র কি রেখে দিবে না তার পাশের সিট?
বাবা কি আর আসবে না আমায় নিতে?
মা দেখো, এতজন হবু ডাক্তার!!
তারা কি পারবে মৃতপ্রায় কোন রোগীর সেবা দিতে?
নাকি নিজের দেহই ফিরে যাবে ওই লাশকাটা ঘরে?
তাদের বইগুলো পুড়বে,
চিৎকার করে কাঁদবে তাদের ফেলে যাওয়া স্বপ্ন,
মাত্র পাঁচটি দিনের জন্যই ত জন্মভূমি ছেড়েছে পিয়াস ভাই,
মা সে কি আর ফিরবে?
মা ও মা,
হাসি আপু ও রকিবুল ভাই এর ছুটি কি শেষ হবে?
মনি আপু আর অমিও ভাই কি আর হাটবেনা একসাথে?
আগুনের ঝলসানো দেহ কি চিনতে পারবে তাদের পরিবার?
ককপিটের কাঁচগুলো কি দেখতে পাও মা?
ওগুলো নাকি ক্যাপ্টেনের গায়ে বিধবে।
মা আমার কি হবে?
তিন বছরের প্রিয়ন্ময়ীর কি হবে?
মা, আর্ধশত প্রাণ কি নিমেষেই পুড়ে ফেলা যায়?
স্বপ্নগুলোকে কি খুব সহজেই ছাই বানানো যায়?
অনিরুদ্ধ,
তোর কোন জবাব আমি দেব না,
জানালার গ্লাস প্লেট আমার এই কন্ঠ মিটিয়ে দিবে,
হয়তবা তোকে আর ডাকতে পারব না।
শোন, কেবিন ক্রু'রা এদিকে আসছে,
ওরা তোর সেফটি বেল্ট খুলে রাখবে,
তোর গায়ে আগুন লাগলেও তুই দৌড়ে পালাবি,
পিছনে ফিরবি না, কক্ষনোই না,
তোর ঝলসানো মুখ আমি দেখতে পারব না।
ককপিট থেকে আমি ফ্লাইট এটেন্ডেন্ট প্রিথুলা
আবারো আপনাদের মনোযোগ আকর্ষণ করছি,
আর কিছুক্ষণ পর আমরা এ পৃথিবী থেকে বিদায় নেব,
খেলার মাঠে সমাধি হতে চলেছে ফ্লাইট নং ২১১,
ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের আজীবন স্মরণ করবে,
এই মরণ যাত্রায় সকলে একসাথে থাকার জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ,
দেখা হবে স্বর্গে।
-মির্জা শামীম
১২/৩/১৮
আমি ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান,
ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্সে সবাইকে স্বাগতম।
অনুগ্রহ করে আপনারা সবাই সিট বেল্টটি বেধে নিন ও
নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলুন।
অনিরুদ্ধ, ঘুমিয়ে গেছো?
না মা, জেগে আছি
আর কতক্ষণ জেগে রবো মা?
হয়ত আর ঘন্টাখানিক।
মা আমি কি আর স্কুলে যাবো না?
রুদ্র কি রেখে দিবে না তার পাশের সিট?
বাবা কি আর আসবে না আমায় নিতে?
মা দেখো, এতজন হবু ডাক্তার!!
তারা কি পারবে মৃতপ্রায় কোন রোগীর সেবা দিতে?
নাকি নিজের দেহই ফিরে যাবে ওই লাশকাটা ঘরে?
তাদের বইগুলো পুড়বে,
চিৎকার করে কাঁদবে তাদের ফেলে যাওয়া স্বপ্ন,
মাত্র পাঁচটি দিনের জন্যই ত জন্মভূমি ছেড়েছে পিয়াস ভাই,
মা সে কি আর ফিরবে?
মা ও মা,
হাসি আপু ও রকিবুল ভাই এর ছুটি কি শেষ হবে?
মনি আপু আর অমিও ভাই কি আর হাটবেনা একসাথে?
আগুনের ঝলসানো দেহ কি চিনতে পারবে তাদের পরিবার?
ককপিটের কাঁচগুলো কি দেখতে পাও মা?
ওগুলো নাকি ক্যাপ্টেনের গায়ে বিধবে।
মা আমার কি হবে?
তিন বছরের প্রিয়ন্ময়ীর কি হবে?
মা, আর্ধশত প্রাণ কি নিমেষেই পুড়ে ফেলা যায়?
স্বপ্নগুলোকে কি খুব সহজেই ছাই বানানো যায়?
অনিরুদ্ধ,
তোর কোন জবাব আমি দেব না,
জানালার গ্লাস প্লেট আমার এই কন্ঠ মিটিয়ে দিবে,
হয়তবা তোকে আর ডাকতে পারব না।
শোন, কেবিন ক্রু'রা এদিকে আসছে,
ওরা তোর সেফটি বেল্ট খুলে রাখবে,
তোর গায়ে আগুন লাগলেও তুই দৌড়ে পালাবি,
পিছনে ফিরবি না, কক্ষনোই না,
তোর ঝলসানো মুখ আমি দেখতে পারব না।
ককপিট থেকে আমি ফ্লাইট এটেন্ডেন্ট প্রিথুলা
আবারো আপনাদের মনোযোগ আকর্ষণ করছি,
আর কিছুক্ষণ পর আমরা এ পৃথিবী থেকে বিদায় নেব,
খেলার মাঠে সমাধি হতে চলেছে ফ্লাইট নং ২১১,
ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের আজীবন স্মরণ করবে,
এই মরণ যাত্রায় সকলে একসাথে থাকার জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ,
দেখা হবে স্বর্গে।
-মির্জা শামীম
১২/৩/১৮

No comments