মানুষ পানির ধর্ম অনুসরণ করে
সৌভাগ্যক্রমে আমার দুটি ভিনদেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ছিল সিংগাপুর যেটা কিনা উন্নত বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল। বিভিন্ন জাতির সংমিশ্রণে গঠিত এই দেশটির আইনশৃঙ্খলা মানুষ পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পালন করে। এর কারণ হলো আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ।
তো এর সাথে পানির ধর্মের কি সম্পর্ক?
সিংগাপুর শহরে রাস্তার মোড় কিংবা সিগনালের ট্রাফিক আইন এতটাই কড়া যে ট্রাফিক রুলস ভাঙ্গলে পানিশমেন্ট হিসেবে গুনতে হবে মোটা অংকের ডলার। আপনি ফরেনার হলেও পার পাবেন না। বিমানে করে দেশে ফেরার আগেই এয়ারপোর্টে জরিমানা পুষিয়ে আসতে হবে। আর ঠিক এজন্যই সবুজ বাতি না জ্বলার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশী,ইন্ডিয়ান,পাকিস্তানী,চাইনিজ,জাপানিজ সহ অন্যান্য সকল দেশের পথচারীরা অপেক্ষা করতে থাকে।
কিন্তু সেই চাইনিজ কিংবা জাপানিজ যখন বাংলাদেশে আসে তখন ঠিকিই টিপিকাল বাংলাদেশীদের মতই চলন্ত গাড়ির থামিয়ে রাস্তা পাড় হয়। যার দেখা আমি আজও উত্তরা ১১ নং সেক্টরের চৌরাস্তায় পেলাম।
আমি আসলে তাদের উদাহরণ দিয়ে যুক্তিটি প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছি না। আমি আমার উদাহরণ দেই। আমি নিজেই তো কতবার হাত উঁচিয়ে বাস, ট্রাক আবার কখনো মালবাহী লড়ি থামিয়ে রাস্তা পার হয়েছি। আবার এই আমিই বিদেশী রাস্তায় সবুজ বাতির জন্য অপেক্ষা করেছি মিনিটের পর মিনিট।
সুতরাং আমরা কি তবে এটা বলতে পারি না যে মানুষকে যে অনুশাসনের মধ্যে রাখা হবে মানুষ সেই অনুশাসনের তাঁবেদারির আকার ধারণ করবে? যা কিনা পানির পাত্রের আকার ধারণ করার মতই সদৃশ?
-ডা. মির্জা শামীম

No comments